তিনি লিখেছেন, “শুধু চাঁদাবাজ আর দুর্নীতিবাজদের ধরলেই হবে না, তাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে চাঁদাবাজি কখনোই বন্ধ হবে না।”
গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ লক্ষ্য করেছেন বলে জানান ডা. জারা। তিনি বলেন, “রাজবাড়ী থেকে খুলনা, পঞ্চগড় থেকে ভোলা—যেখানেই গেছি, সাধারণ মানুষ বারবার একটি প্রশ্ন তুলেছেন, এই দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির রাজত্ব কবে শেষ হবে?”
এনসিপি নেত্রী আরও বলেন, “অপরাধী যেই হোক, তার পরিচয়, প্রভাব বা অতীত ইতিহাস যাই থাকুক, সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে।” তিনি মনে করেন, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটি একটি রাজনৈতিক সংস্কারের লড়াই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকেই আগে নিজেদের ঘর গোছাতে হবে।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডা. জারা লিখেছেন, “এই সরকার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর ও কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি। শুরুর দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেনি, সেই বাস্তবতা ছিল। কিন্তু এক বছর পরেও যদি আপনি সেটা করতে না পারেন, সেটার দায় আপনার।”
তবে তিনি আশাবাদী যে, এখনো সময় আছে। তিনি বলেন, “এই সরকার যদি সাহসী পদক্ষেপ নেয়, রাজনৈতিক প্রভাবশালী হোক বা প্রশাসনিক ক্ষমতাবান, সবাইকে যদি জবাবদিহির আওতায় আনে, তাহলে মানুষ এই সরকারকে শ্রদ্ধার সাথেই স্মরণ করবে।”