জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে সরকার যদি জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, তবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে তারা আবারও রাজপথে নামবেন। বৃহস্পতিবার মাগুরায় এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘৩ আগস্টের মধ্যে আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ দেখতে চাই। ওই দিন আমরা শহীদ মিনারে থাকব। এর মধ্যে সরকার যদি জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, তবে সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আবার আন্দোলনে নামব।’
জুলাই পদযাত্রার দশম দিনে এনসিপির নেতারা মাগুরায় আসেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি ভায়না মোড়, কলেজ রোড, চৌরঙ্গী মোড়, সৈয়দ আতর আলী সড়ক ও ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড ঘুরে আবার ভায়না মোড়ে এসে শেষ হয়। বেলা আড়াইটার দিকে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভায়না এলাকার স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে দাঁড়িয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, চাঁদাবাজ-সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের জন্যই আমাদের লড়াই। আমাদের সেই লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমরা সেই বার্তা দিতেই এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, মাগুরায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনসিপির সাংগঠনিক বিস্তার ঘটবে। তিনি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মাগুরাবাসীকে সরব থাকার আহ্বান জানান।
জুলাই গণ-অভ্যু২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই মাগুরার দশজন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন। আপনাদের সেই সন্তানদের রক্তের মর্যাদা আজ আমাদের সবাইকে মিলে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, তাঁরা রক্ত দিয়েছেন একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য। সে কারণেই আমরা মাঠে নেমেছি।’
পদযাত্রায় অংশ নেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ। পদযাত্রা ও পথসভা শেষে এনসিপির নেতারা নড়াইলের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
by 
