জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বুধবার গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এক পথসভায় বলেছেন, “আজকে মুজিববাদীরা বাধা দিয়েছে, তাদের জবাব দেওয়া হবে। আমরা যদি এখানে ঘোষণা দিই, সারা বাংলাদেশ গোপালগঞ্জে এসে জড়ো হবে। কিন্তু আমরা সময় দিচ্ছি।” এই পথসভার আগে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, “কোন সাহসে বাধা দিয়েছে? কোন সাহসে মুজিববাদীরা এখনো গোপালগঞ্জে আশ্রয় নিয়ে আছে? কারা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে? দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার না হলে আমরা আবার গোপালগঞ্জে আসব। নিজ হাতে গোপালগঞ্জকে মুজিববাদীদের থেকে মুক্ত করব ইনশা আল্লাহ।”
গোপালগঞ্জবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা যাঁরা দূর থেকে শুনছেন, আমরা আজ গোপালগঞ্জে এসেছিলাম দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা নিয়ে, কোনো যুদ্ধের আহ্বান নিয়ে নয়। আমরা শান্তি ও দেশ গড়ার আহ্বান নিয়ে এসেছি। আমরা গোপালগঞ্জের নাম বদলাতে আসিনি। আমরা এসেছি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে গোপালগঞ্জের মানুষের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি নিয়ে।”
নাহিদ আরও বলেন, “গণ–অভ্যুত্থানের সময় আমরা বলেছিলাম, বাধা দিলে বাধবে লড়াই, আর সেই লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা জিতেছিলাম। আজ আবার বাধা দেওয়া হয়েছে, দ্বিগুণ গতিতে এর জবাব দেব ইনশা আল্লাহ।” তিনি গোপালগঞ্জের মানুষকে বলেন, “যাঁরা গণ–অভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের পক্ষে, আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে যেন গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের আশ্রয়কেন্দ্র না হয়। পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হলে নিজেদের, জেলার মর্যাদা ও বাংলাদেশকে রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “মুজিববাদীরা মুক্তিযুদ্ধ ও গোপালগঞ্জকে কলুষিত করেছে। আমরা গোপালগঞ্জকে পুনরুদ্ধার ও সমুন্নত করব।”
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের অংশ হয়ে উঠতে পারেনি। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে গোপালগঞ্জকে বিচ্ছিন্ন করেছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে সংকটে ফেলেছে। আমরা আশ্বস্ত করছি, গোপালগঞ্জ, ফেনী, বগুড়া—সবার জন্য সমানভাবে লড়াই করব। আমরা আপনাদের জালিমের শাসন থেকে মুক্ত করেছি। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে ইনসাফের বাংলাদেশ গঠন করব।”
শেখ হাসিনাকে স্বার্থপর আখ্যা দিয়ে হাসনাত বলেন, “হাসিনা আপনাদের ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। গোপালগঞ্জকে ধারণ করলে তিনি ভারতে না গিয়ে এখানে আসতেন। তিনি স্বার্থপর। তিনি ফ্যামিলির বাইরে গোপালগঞ্জবাসীর কথা একবারও ভাবেননি।”
সমাবেশ শেষে মুজিববাদীদের আস্তানা ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহসহ এনসিপির নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন। তবে সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.