গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাত্রদল জামালপুর সদর উপজেলা পূর্ব শাখার আহ্বায়ক সাব্বির আহম্মেদ ও সদস্যসচিব আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অব্যাহতির তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল বিকেলে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশের কারণে সদর উপজেলার নান্দিনা বাজার এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শত শত যানবাহন আটকে পড়ার ছবিসহ ক্ষোভ প্রকাশ করে অমিত হাসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
অমিত হাসান বলেন, ‘আমার সঙ্গে চরম অন্যায় করা হয়েছে। ওই সমাবেশ ও মিছিলের কারণে এক কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও আটকা পড়েছিল। যানজট ছাড়তে ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমি কয়েকটি ছবিসহ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলাম। স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম, “সমাবেশ নাকি সাধারণ জনগণের ভোগান্তি”। এই কারণে আমাকে কোনো শোকজ না করেই সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই দলের জন্য হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছি। আমার নামে এখনো তিনটি মামলা রয়েছে। ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে নির্যাতন সহ্য করেছি। এখন দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এর চেয়ে দুঃখের আর কী হতে পারে?’
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, ‘সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অমিত হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রঘোষিত একটি কর্মসূচি নিয়ে তিনি এ ধরনের স্ট্যাটাস কীভাবে দেন? আমাদের সন্দেহ হয়, তিনি আমাদের লোক কি না।’