বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি ছাড়া কখনোই স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি জানান, যারা পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) হলরুমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণা এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “জাতি আজ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আসুন আমরা সংলাপে বসি।” তিনি বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের প্রতি এই আহ্বান জানান এবং প্রধান উপদেষ্টাকে সব দলকে নিয়ে আলোচনায় বসার অনুরোধ করেন।
ড. তাহের বলেন, “যারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, তারাই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। তারা যেনতেন একটি নির্বাচন দিয়ে পুরোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনতে চায়।” তিনি আরও বলেন, “অনেকে ভাবছেন আমরা বিভক্ত হয়ে গেছি। আমাদের মাঝে জুলাইয়ের চেতনা এখনো আছে। আমরা বিভক্ত হইনি। যারা পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না, তারা জানে নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। তাই তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না।”
তিনি জানান, নির্বাচনের পরে যারা ক্ষমতায় যাবেন, তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও এর আইনি ভিত্তি দেবেন, কিন্তু এর গ্যারান্টি কোথায়? তিনি বলেন, “নির্বাচনে জেতার ও ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি ফ্যাসিস্ট হাসিনা দিতো। তাদের কথার মধ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়।”
ড. তাহের বলেন, “ঐকমত্য কমিশনে আমরা চড়ুইভাতি খেলতে যাইনি। সেখানে আমরা অনেক কিছু ছাড় দিয়েছি। ঐকমত্য কমিশনে যেসব প্রস্তাবনা ও সিদ্ধান্ত রাখা হয়েছে, নির্বাচনের আগেই সেগুলোর আইনি ভিত্তি দিতে হবে। নয়তো নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।”
তিনি আরও বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এবং জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি চায়। প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “পিআর, সংস্কার এবং জুলাই সনদের আইনগত বিষয়ে গণভোট দিন। জনগণই এসবের সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি শেষে জানান, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের আগে এবং পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হলে, দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে দাবি পূরণে বাধ্য করা হবে।”