শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

বরিশালে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুর: নুরুল হক প্রধান আসামি, মামলার নির্দেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২১বরিশালে জাতীয় পার্টির (জাপা) জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বরিশালের একটি আদালত কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এই নির্দেশ দেন।জাতীয় পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে নুরুল হকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশেদ খান, গণ অধিকার পরিষদের বরিশাল জেলা সভাপতি এইচ এম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ এম হাসান, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনসহ ২৫ জনের নাম মামলায় রয়েছে। এর পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।বাদীপক্ষের অভিযোগ, গত ৩১ মে রাতে বরিশাল নগরের ফকিরবাড়ি সড়কে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। ঘটনার পর জাতীয় পার্টির নেতারা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পরে তারা আদালতের শরণাপন্ন হন।আইনজীবী আবদুল জলিল জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং কাগজপত্র কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়েছে। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ডলি আক্তার আদালতের নির্দেশ গ্রহণ করেছেন।তবে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা এখনো মামলার কাগজপত্র হাত দেই নি। তবে ডিউটি অফিসার যদি গ্রহণ করে থাকেন, তা আমরা পাব।”গণ অধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, “জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগে মামলার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। তবে এমন কিছু হলে আইনি পদক্ষেপে মোকাবিলা করা হবে।”প্রসঙ্গ: গত ৩১ মে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বরিশালে একটি মিছিলের সময় গণ অধিকার পরিষদের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওই রাতে ফকিরবাড়ি সড়কে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর গণ অধিকার পরিষদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.