মূল প্রস্তাবনায় দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন এবং সংসদে প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন ঘটাতে এই পদ্ধতি অধিক কার্যকর। বিদ্যমান সংকটের সমাধান এমএমপি পদ্ধতির মধ্য দিয়েই সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, সরকারের নির্বাচনকালীন প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও নির্বাচনের পূর্বে সংস্কার এবং খুনিদের বিচারের দাবিও তুলে ধরেন তিনি।
গোলটেবিল আলোচনায় বিভিন্ন দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। কেউ কেউ এই প্রস্তাবের পক্ষে মত দিলেও, সমালোচনাও এসেছে। ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান এমএমপি পদ্ধতির অস্পষ্টতা ও সংসদীয় আসনের সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “এই প্রস্তাব নীতিগতভাবে সমর্থনযোগ্য। তবে এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে এগোনো যেতে পারে।”
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ বিদ্যমান পদ্ধতিতে এবং ১০০ সংরক্ষিত আসনে পিআর চালু করলে পর্যায়ক্রমে অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে।”
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, “জুলাই গণ–অভ্যুত্থান কোনো দলের কেন্দ্র করে হয়নি। বিদ্যমান পদ্ধতি ব্যর্থ বলেই আমরা নতুন পদ্ধতির আলোচনা করছি।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ বলেন, “রাষ্ট্রের রাজনৈতিক শুদ্ধি দরকার। শুধু পিআর নয়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরও সংস্কার দরকার। এই পদ্ধতি মধ্যবর্তী সমাধান হিসেবে ভালো, তবে ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করতে হবে।”
আলোচনায় আরও অংশ নেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, এবং খেলাফত মজলিসের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
উপসংহারে, আলোচকরা বলেন, রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচনব্যবস্থায় সমতা, এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের জন্য পিআর কিংবা এমএমপি–র মতো বিকল্প পদ্ধতি বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। তবে এটি বাস্তবায়নে ধাপে ধাপে এবং সমন্বিত পরিকল্পনা জরুরি।