সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

জামায়াত ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হবে: হালিম


আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় সমাবেশ’ সর্বোচ্চ প্রস্তুতির মাধ্যমে সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম। সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকার মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের উদ্যোগে জেলা-মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য এবং উপজেলা-থানা আমির ও সেক্রেটারিদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন।

মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, “সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে এই জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।” তিনি সমাবেশ সফল করতে প্রচার, গণসংযোগ, জেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনশক্তি সংগঠন এবং সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন। তিনি ১২ বছর পর দলের নিবন্ধন ও ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক ফিরে পাওয়ায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।

তিনি আরও বলেন, “গত ১৮ বছরে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হত্যা, শতশত নেতাকর্মীর গুম, খুন ও নির্যাতন সত্ত্বেও জামায়াতের আদর্শিক আন্দোলন থামানো যায়নি এবং ভবিষ্যতেও থামানো যাবে না, ইনশাআল্লাহ।” তিনি জামায়াতের লক্ষ্য হিসেবে জুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক একটি সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “জামায়াত ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।” সভায় কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুন্সিগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, নরসিংদী জেলা আমির মাওলানা মোসলেহ উদ্দিনসহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগরীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.