রাশেদ খান লিখেছেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টারা বলেছিলেন, প্রতি মাসে নিজেদের দপ্তরের কর্মকর্তা ও নিজেদের সম্পদের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করবেন। কিন্তু সরকারের ১ বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো মন্ত্রণালয় এ ধরনের কোনো হিসাব দাখিল করেনি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “যখন জনগণ বা কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী উল্টো প্রশ্ন তোলে—‘আগে নিজের হিসাব দেন।’ এ গোষ্ঠীই সরকারের আমলে টেন্ডার, তদবির, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অর্থ আদায় করেছে।”
রাশেদ খান দাবি করেন, “সরকার এসব নীতিহীন সুবিধাভোগীদের খপ্পরে পড়েই জবাবদিহিহীন হয়ে পড়েছে। ছায়া সরকারের কথা যাঁরা বলেন, তারাই আসলে এই ছায়া সরকার চালায়। উপদেষ্টারা যদি মন্ত্রণালয়ভিত্তিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সম্পদের হিসাব দেওয়া শুরু করেন, তবে এই গোষ্ঠীর মাতব্বরি বন্ধ হয়ে যাবে—তাই তারা সেই জবাবদিহি হতে দিচ্ছে না।”
ফেসবুক পোস্টে গণঅধিকার পরিষদের নেতা আরও লিখেন, “সরকারকে জনগণ এক বছরের সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বড় ধরনের সমালোচনা করা হয়নি। কিন্তু কেউ বছরের পর বছর রাষ্ট্র চালাতে পারবে শুধু সহানুভূতির ওপর ভর করে—এটা ভাবার সুযোগ নেই। এখন জনগণ সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি দাবি করবে, তাতে সুবিধাভোগীরা বিরক্ত হলেও কিছু করার নেই।”
রাশেদ খান সরকারের ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, “সরকার বিদেশিদের খুশি করতে গিয়ে দেশের ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট উপেক্ষা করে যেসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা খুব শিগগিরই জনরোষের মুখে পড়বে। জনগণ প্রতিবাদে মাঠে নামবে।”