বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না, কথাবার্তা পরিষ্কার: রাশেদ প্রধান

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না। তিনি গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “এই বর্বর হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে যে, বাংলার মাটিতে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কোনো অধিকার নেই।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ‘আগামীর বাংলাদেশ গড়ার’ লক্ষ্যে জাগপার মাসব্যাপী কর্মসূচির ১৭তম দিনে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নরসিংদী জেলখানা মোড়, প্রেস ক্লাব, ডিসি রোড ও সরকারি কলেজ এলাকায় গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ প্রধান আরও বলেন, “অপরাজনীতি ত্যাগ করে জনগণের রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ আওয়ামী লীগ নিজ হাতে নষ্ট করেছে। জুলাই-আগস্ট গণহত্যার পর তাদের কোনো নেতার মধ্যে অপরাধবোধ বা অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং তারা তাদের পলাতক নেত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লির ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে চায়।” তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে শেখ হাসিনার পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনার পুনর্বাসন হয়েছিল, এই ভুল আর কখনো হতে দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের দল হিসেবে বিচার করতে হবে।”
পথসভায় বক্তব্য দেন জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নরসিংদী জেলার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, নরসিংদী জেলা জাগপার সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম, শ্রমিক জাগপার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন, রায়পুরা উপজেলার সভাপতি বোরহান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন আহমেদ এবং জেলা যুব জাগপার সভাপতি ইউসূফ হাসান।
এদিকে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। এনসিপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় মশাল মিছিল এবং মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে এনসিপি।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.