পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু অভিযোগ করেন, আগামী ৫ আগস্টের কর্মসূচি সামনে রেখে রবিবার সকালে অডিটোরিয়ামে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি বলেন, “সভায় উপস্থিত হলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান এবং তার আত্মীয় নেতারা আমার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। আমার কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বললেও হান্নান শরীফের অনুসারীরা অতর্কিতে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।”
মিন্টু আরও জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রমজান হোসেনকে একা পেয়ে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, “সভা শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত ভেতরে ঢুকে আমাদের দুজন কর্মীকে মারধর করে।”
ছাত্রদল নেতা জসিম শরীফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।”