শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

জাতীয় সংস্কার জোটের ঘোষণা: ১৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য

 জাতীয় সংস্কার জোটের নেতারা ঘোষণা করেছেন, তারা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ লক্ষ্যে তাদের ঘোষিত ১৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছেন তারা। শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর বিজয় সরণিতে জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভায় বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদসহ ৩৫টি দল নিয়ে গঠিত জাতীয় সংস্কার জোটে নতুন করে আরও পাঁচটি দল ও একটি জোট যোগদান করে। এর মধ্যে ড. আসলাম আল মেহেদীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টি এবং সরদার আব্দুস সাত্তারের গণঅধিকার পার্টি উল্লেখযোগ্য।

জোটের আহ্বায়ক মেজর (অব.) আমীন আহমেদ আফসারী বলেন, “দেশ এখন নানা দিক থেকে ভীষণ সংকটের মুখে। বড় দলগুলো নিজেদের স্বার্থ নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। সরকার বিব্রত বোধ করছেন। কিছু উপদেষ্টার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জুলাই বিপ্লবের স্প্রিট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে। সরকার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে, তাদের কিছুই করার নেই। এটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা দেশবাসীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

জোটের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বলেন, “আমাদের ৮ দফা দাবি নিয়ে সরকার তামাশা করছে। দাবি আদায়ে আগামী ১০ আগস্ট থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এই সরকার আমাদের অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত। আমরা এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না।”

জোটের ঘোষিত ১৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, সকল গণহত্যার বিচার, প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সহজিকরণ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বাধা দূরীকরণ, ডিসি-ইউএনওর পরিবর্তে স্বাধীন ও শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গঠন, প্রবাসীদের ভোটার করা, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং নারীর নিরাপত্তা ও ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, নির্বাহী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নূরসহ অন্যান্য নেতারা। এই সভার মাধ্যমে জোট তাদের আগামী নির্বাচনের রূপরেখা এবং সংস্কারের দাবি জোরালোভাবে তুলে ধরে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.