মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

আবরার ফাহাদের পথ ধরে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা শহীদ আবরার ফাহাদের উত্তরসূরি। আমরা শহীদ আবরার ফাহাদ ও শহীদ ইয়ামিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পষ্টভাবে বলছি, আবরার ফাহাদ থেকে শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ ইয়ামিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের আধিপত্য ও আগ্রাসনবিরোধী আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাব।’ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা তিনটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচরাস্তার মোড়ে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।[

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আবরার ফাহাদের পথ ধরে লড়াই করছি। যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা পক্ষ সেই আধিপত্যবাদের গোলাম হতে চায়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব। বাংলাদেশের জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, গোলামি নয়, আজাদি চাই। আমরা ভারত ও দিল্লির গোলামি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’ পথসভার আগে বেলা আড়াইটায় প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে এনসিপির নেতা-কর্মীরা কুষ্টিয়ার এনএস রোডে জুলাই পদযাত্রা শুরু করেন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা সড়কের দুই পাশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। পদযাত্রাটি থানা মোড় হয়ে পাঁচরাস্তার মোড়ে পথসভায় মিলিত হয়। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের রাজনীতি ও রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব। কুষ্টিয়ার আবরার ফাহাদ ও শহীদ ইয়ামিন আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছেন। আমরা তাঁদের চেতনাকে ধারণ করি।’ আওয়ামী লীগের শাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতের আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মানুষ কথা বলতে পারত না। ইসলাম ধর্ম ও বাংলাদেশের পক্ষে কথা বললেই নির্যাতন ও হত্যার শিকার হতে হতো। শহীদ আবরার ফাহাদ সেই সময়ে মুখ খুলেছিলেন।’ পদযাত্রার আগে দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন এনসিপি নেতারা। সেখানে তাঁরা আবরারের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার বলেন, ‘এই আমার হাতে শহীদ আবরার ফাহাদের কবরের মাটি। এই বাংলাদেশকে আমরা শহীদ আবরার ফাহাদের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এই মাটির শপথ, আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ব, ইনশা আল্লাহ। বেলা সাড়ে তিনটায় পথসভা শেষে এনসিপি নেতারা মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.