শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জনসংযোগ ও কর্মসূচি চলছে জোরদার

সকারি চাকরিতে কোটা বাতিল সংক্রান্ত চার দফা দাবির ভিত্তিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ সারা দেশে সমন্বিতভাবে অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে। গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) এই কর্মসূচি ব্যাপকভাবে পালিত হয়।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ প্রত্যাহারের আগে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তিন দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “শুক্রবার আমরা চার দফা দাবির ভিত্তিতে সারা দেশে সমন্বিতভাবে অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ কর্মসূচি চালাবো। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৩টায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হবে। রোববার (৭ জুলাই) সব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের মাধ্যমে ধর্মঘট পালন করা হবে।”

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ থেকে এখনো আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বা কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি।” আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমাদের কর্মসূচি শুক্রবারও অব্যাহত থাকবে। আমরা চার দফা দাবিকেন্দ্রিক ব্যাপক প্রচারণা চালাবো। শনিবার বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।” সমন্বয়কদের আহ্বানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪ থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে অভিন্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করে আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এই আন্দোলন দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিষয়টি ব্যাপক প্রচার পেয়েছে, এবং সমন্বয়করা ফেসবুকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনকারী বিভাগগুলোর হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছেন। এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের সরকারি পরিপত্রের অংশবিশেষ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’। তারা এক বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.