বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

ষড়যন্ত্র কখনোই টিকে থাকে না: মুরাদ

বক্তব্য রাখছেন ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কঠোর সমালোচনা করছেন ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। তিনি বলেছেন, ‘ষড়যন্ত্র কখনোই টিকে থাকে না। যারাই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মাথায় নিয়েছে, তারাই রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে।’

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকা জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, ‘যারা বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদের ভেবে দেখা উচিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কার কত অবদান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে অনেকে আজ রাজনীতি করার সুযোগ পেতেন না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৯ বছর আপসহীনভাবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন না করলে দেশ এরশাদের স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হতো না। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন না করলে দেশে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না।’
তিনি বলেন, ‘দেশ অপপ্রচারের জোয়ারে ভাসছে। আর সব অপপ্রচারের উৎপত্তিস্থল জামায়াত-শিবিরের আস্তানা। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে পানি ঘোলা করে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। অতীতের মতো জামায়াতের এবারের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।’
ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কোনো দলের না। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম, যখন দেখলাম মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা অপপ্রচার চালাল। এখন পুলিশ বলছে, এটা চাঁদাবাজির ঘটনা নয়, ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এই অপপ্রচারের জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাইতে হবে।’
মিছিলে অন্যদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, জেলা নেতা হাজি দেলোয়ার হোসেন মাসুম, মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, রকিব দেওয়ান রকি, ইবাদুল হক জাহিদ, খুররম চৌধুরি টুটুল, মো. সুরুজজামান, তপন মোল্লা, ফজলুল হক বেলায়েতী, ইয়ার মো. ইয়াছিন সরকার শাওন, ইশতিয়াক আহম্মেদ ফারুক, শহিদুল ইসলাম শহীদ, তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.