সোমবার, ৪ আগস্ট, ২০২৫

ব্যারিস্টার কায়সার কামালের মানবিক উদ্যোগে দুঃস্থদের চোখে আলো ফিরছে

 বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের চোখের আলো ফেরাতে মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। চিকিৎসার অভাবে অন্ধত্বের দ্বারপ্রান্তে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত চার ধাপে ১৮২ জনের চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার চতুর্থ ধাপে ৪৫ জনের সফল অপারেশন সম্পন্ন হয়, যার মধ্যে ২৬ জন নারী এবং ১৯ জন পুরুষ। ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে এই অপারেশনগুলো পরিচালিত হয়। নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাধারণ মানুষ এখানে চোখের আলো ফিরে পাচ্ছেন।

শুধু অপারেশনই নয়, রোগীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়া এবং ওষুধের সব খরচও বহন করছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। স্থানীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকেরা রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে সহায়তা করছেন। এর আগে ১৯ জুলাই প্রথম ধাপে ৪২ জন, ২৩ জুলাই দ্বিতীয় ধাপে ৫০ জন এবং ৩০ জুলাই তৃতীয় ধাপে ৪৫ জনের চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়নের গুজিরকোণা গ্রামে একটি ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। সেখানে ৯৩২ জন রোগী চোখের চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে ছানি অপারেশনের জন্য একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এ পর্যন্ত ১৮৩ জনের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা সুস্থভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন। পর্যায়ক্রমে আরও রোগীদের অপারেশন করা হবে। এর আগেও কায়সার কামালের সহায়তায় প্রায় ৪০০ জনের চোখের আলো ফিরে এসেছে।

চিকিৎসা নিতে আসা জুলেখা খাতুন বলেন, “কয়েক বছর ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলাম না। কায়সার ভাই আমাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।”

অপর রোগী নজরুল ইসলাম বলেন, “অনেক দিন ধরে চোখে অসুখ। টাকার অভাবে কোনো চিকিৎসা করাতে পারিনি। এবার কায়সার কামাল সাহেব আমার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করি।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.