বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ফ্যাসিবাদমুক্ত সমাজ গঠনে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই: মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদ তখনই সৃষ্টি হয়, যখন একক ক্ষমতা দখলের সুযোগ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের আজীবন ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সংবিধানকে বারবার সংশোধন করে দলীয় প্রচারপত্রে পরিণত করে। দেশ, ইসলাম ও মানবতাকে এই অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য জনগণের একমাত্র ভরসা এখন পিআর পদ্ধতির নির্বাচন।”

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়ীয়া) আসনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা মামুনুর রশিদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা সাইফুল্লাহ মানসুর, ওলামা মাশায়েখ আইম্ম পরিষদের জেলা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, শ্রমিক নেতা মনিরুজ্জামানসহ জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম আরও বলেন, “ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে। এখন একটি সুন্দর আগামীর জন্য, আগামী বন্দোবস্ত বিনির্মাণের জন্য রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি এবং ফলপ্রসূ নির্বাচন প্রয়োজন, যা পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে সম্ভব। পুরোনো বন্দোবস্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। জনগণ জিঘাংসা, প্রতিহিংসা বা দৈত্য দানবের রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। চাঁদাবাজি ও পাথর দিয়ে মানুষ মারার রাজনীতি আর চায় না।”

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট, খুনি ও টাকা পাচারকারী শেখ হাসিনা বুঝতেও পারেনি তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে। অতীত থেকে শিক্ষা না নিলে এমন পরাজয় বরণ করতে হবে। চাঁদাবাজ, খুনি ও স্বার্থান্বেষীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা এই চাঁদাবাজ, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.