বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, “পিআর, টিআর আমরা বুঝি না। আগে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় এ দেশের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।” তিনি জানান, ১৯৯৬ সালে জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে ১৭৩ দিন হরতাল পালন করেছিল। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তারা মাত্র তিনটি আসন পেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, “১৯৪৭ সালে জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দেয়নি, বরং অবিভক্ত ভারতের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। তারা কখনো দেশের পক্ষে কাজ করে না, সব সময় দেশের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র করে। আগামী নির্বাচন নিয়েও তারা পিআর পদ্ধতির অজুহাতে ষড়যন্ত্র করছে।”
বুলু জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের জনগণের মনোভাব বুঝে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “একটি নির্বাচিত সরকারই দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের আমলে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
তিনি খালেদা জিয়ার প্রশংসা করে বলেন, “খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী আর হয় না। তিনি দেশের জন্য জীবন বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। শেখ হাসিনা তাকে জেলে নিয়ে স্লো-পয়জন দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মাধ্যমে দেশকে একটি মানচিত্র উপহার দিয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. কামরুল হুদার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলম রাজুর সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।