জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়নে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ে এ মাসের শেষের দিকে জাপান থেকে একটি টিম পরিদর্শনে আসবে। তিনি জানান, সঠিক পরিকল্পনা ও কাজের সুযোগ পেলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে হাতিয়া দ্বীপ সেন্টমার্টিনের চেয়েও সুন্দর হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টায় হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং কাজ পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হান্নান মাসউদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যদি পালিয়ে না যেতেন, তাহলে হয়তো আমাকে মাটির নিচে বা আয়নাঘরে থাকতে হতো। গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ায় আমি আজ আপনাদের সামনে কথা বলতে পারছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান। আমি কখনো ভোট চাইতে আসব না। আপনারা আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে প্রার্থী হিসেবে পেলে তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন, এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি শুধু চাই অবহেলিত হাতিয়া দ্বীপের উন্নয়ন হোক। যিনি এই দ্বীপের উন্নতি করতে পারবেন, তাকেই আপনারা ভোট দেবেন।”
সরকারের কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা নন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমার বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই। আপনারা যেমন আমার কাছে সুখ-দুঃখের কথা শেয়ার করেন, আমিও সেগুলো সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরি এবং প্রকল্প আনার চেষ্টা করি। আমার চাচা-খালারাও নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সব হারিয়েছেন। নদী ভাঙনের কষ্ট আমি বুঝি।”
নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ নিজেদের মধ্যে হানাহানি বা মারামারি করবেন না। বিএনপি, জামায়াত বা এনসিপি যে দলই হোক, আমরা যদি নিজেদের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করি, তাহলে সারা দেশের মানুষ আমাদের খারাপ ভাববে।”
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির হাতিয়া উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী সামছল তিব্রিজ, যুগ্ম সমন্বয়কারী আলাউদ্দিন, ইউসুফ রেজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।