গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদের এক সভা থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় খেলাফত মজলিস।
সভায় নেতারা বলেন, "নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকতে হবে। কালো টাকা ও পেশিশক্তিমুক্ত নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।"
তাঁরা আরও বলেন, "জুলাই ঘোষণাপত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৩তম দফায় এক-এগারোর অগণতান্ত্রিক সরকার ও ২০০৮ সালের পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার, যেখানে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী সংখ্যা আরও বেশি।"
দলটি অভিযোগ করে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড (২০০৯), শাপলা চত্বর গণহত্যা (২০১৩), কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমন-পীড়ন (২০১৮), এবং নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে আন্দোলনে প্রাণহানি (২০২১)—এই সব ঘটনার কোনও উল্লেখ ঘোষণাপত্রে করা হয়নি। এ কারণে খেলাফত মজলিস মনে করে, এসব সংশোধন করে সংযোজন না করলে জুলাই সনদ ‘অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থান-বিরোধী চেতনার পরিপন্থী এবং জাতির জন্য হতাশাজনক’ হবে।
দলের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।