মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। নাসীরুদ্দীন বলেন, “নির্বাচনের ডেট ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তাদের লাশ ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার যে ভাইয়ের হাত চলে গিয়েছিল, যদি সংস্কার শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে আমার ভাইয়ের হাত ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, তাকে তার সন্তান ফেরত দিতে হবে।” তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এত মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? এত মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?”
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এবং জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও এনসিপি সংস্কার এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের আগে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং জাতীয় যুবশক্তির সদস্য সচিব জাহেদুল ইসলাম।