রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

এনসিপির হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবি: রুমিন ফারহানা হাসিনার পতনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন

 রোববার (২৪ আগস্ট ২০২৫) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বিএনপির মধ্যে অনেকেই আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে কাজ করছেন, যাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা অন্যতম। তিনি দাবি করেন, হাসিনার পতনে রুমিন ফারহানা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “অতীত কাঠামোতে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বস্তুনিষ্ঠ ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এসেছি। যে ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী পুরো বাংলাদেশ হয়েছে, তা প্রমাণ করে আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে, বিএনপি সেই নির্বাচনে কী ভূমিকা পালন করবে এবং পুলিশ যে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “রুমিন ফারহানা হাসিনার কাছে ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করেছিলেন। হাসিনার পতনে তিনি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের থেকেও বেশি আওয়ামী লীগের পণ্য হিসেবে যাদের মনে হয়, তাদের মধ্যে রুমিন ফারহানা অন্যতম। তিনি সবসময় বলেন, গত ১৫ বছর তিনি নাকি খুব ভালো ছিলেন। অবশ্যই তিনি ভালো থাকবেন, কারণ আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুবিধা তিনি গ্রহণ করেছেন।”

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে হাসনাত বলেন, “আমরা সবসময় ইসির ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এসেছি। আজও পুলিশকে নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখেছি।” তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের নির্বাচন কমিশনে প্রবেশে বাধা দিয়েছে, কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীদের অবাধে প্রবেশ-প্রস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন কমিশন কতিপয় রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে।”

হাসনাত আরও বলেন, “আমরা বারবার বলে এসেছি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উত্তরণের অপেক্ষায় রয়েছে, কিন্তু তারা গুন্ডাতন্ত্রের দিকে ফিরে যেতে চায় না। মানুষ আরেকটি এক-এগারোর মতো পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছে না।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.