শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে বুধন্তীতে মশাল মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রকাশিত আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার অবস্থানের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৮টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই বিক্ষোভে কয়েকশত মানুষ অংশ নেন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ এতে যোগ দেন।

প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, যিনি বুধন্তী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি নিজের পৈত্রিক এলাকার মানুষের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নিজের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তারা বলেন, “জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ানো কোনো প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।” বিক্ষোভকারীরা বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, বুধন্তী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুবুর আলম, সাধারণ সম্পাদক রাস্টু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. কামাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন খোকন, বিজয়নগর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক রতন মোল্লা, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির মোল্লা, এবং বুধন্তী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শামীম ফকির প্রমুখ।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই স্থানীয় জনগণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.