বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
“নুর শুরু, নুরে শেষ হবে না”—হুঁশিয়ারি ফুয়াদের
তিনি অভিযোগ করেন, গত সপ্তাহে যৌথবাহিনী ও পুলিশ নুরুল হকের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে ও তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের বাইরে। হামলায় নুর গুরুতর আহত হয়েছেন—নাকের হাড় ভেঙে গেছে, দম নিতে কষ্ট হচ্ছে, মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হচ্ছে। ঘুমাতে পারছেন না। ওটি করে রক্ত পরিষ্কার করতে হয়েছে।
ফুয়াদ জানান, একই হামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানও গুরুতর আহত হয়েছেন। তার কোমরের হাড় ডিসপ্লেস হয়ে গেছে, হাঁটতে পারছেন না। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনিও।
“বিচার না হলে উপদেষ্টাদের লাশ পড়বে”
‘জাতীয় পার্টি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’
ফুয়াদ আরও দাবি করেন, সম্প্রতি তার দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাকিব রহমানকে কোনো নোটিশ ছাড়াই বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের স্বীকার করেন, এটি ভারতীয় হাইকমিশনের নির্দেশে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আশির দশক থেকেই জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে নয়, বরং বিপক্ষে কাজ করে আসছে। এরশাদ থেকে শুরু করে তারা সবসময় আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ভূমিকা রেখেছে।
“জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে”
‘এস আলম-শেখ হাসিনা বৈঠকে এসাসিনেশন পরিকল্পনা’
তিনি দাবি করেন, দিল্লির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছে, তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকের নাম সেই তালিকায় রয়েছে।
‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ’
ফুয়াদের দাবি, সেনাবাহিনীর ভেতরেও ‘আয়না ঘর’ নামক এক ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক সক্রিয় আছে, যারা জাতীয় পার্টির সঙ্গে যোগসাজশে এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত।
সংক্ষিপ্তভাবে যা বললেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ:
-
নূরের ওপর হামলা বিচ্ছিন্ন নয়, এটি বড় ষড়যন্ত্রের অংশ
-
জাতীয় পার্টি স্বাধীনতা-বিরোধী, নিষিদ্ধ করা উচিত
-
ভারতের নির্দেশে জাতীয় পার্টি নেতা বরখাস্ত, যা জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি
-
নূর ও নাজমুলের ওপর যৌথবাহিনীর হামলায় কোনো ব্যবস্থা নেই
-
এস আলম-শেখ হাসিনা বৈঠকে এসাসিনেশনের পরিকল্পনার অভিযোগ
-
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অযোগ্য, সেনাবাহিনীতে অপরাধী নেটওয়ার্ক সক্রিয়ফু