সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন: খালেদা জিয়ার অবদান ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি

ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরে বলেন, “দেশনেত্রী দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এবং গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তিনি কখনো মাথা নত করেননি।”


তারেক রহমানকে ভবিষ্যতের নেতৃত্বদাতা হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, “দেশের মানুষ আজ তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার নেতৃত্বে আগামী দিনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা হবে।” তিনি আরও বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন, মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং ভিশন ২০৩০–এর মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছে। বর্তমানে ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনীতি, রাজনৈতিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে দলটি।


মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট শাসনে’ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলোর হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, “২৪ জুলাই ঢাকার রাজপথে হাজারো তরুণ, যুবক, নারী ও শিশু তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে গত ১৫ বছরে আমাদের ১২ জন সহকর্মী শহীদ হয়েছেন, শুধু জুলাই মাসেই প্রাণ দিয়েছেন চারজন। আওয়ামী লীগ এখানে ৭৫টি মামলা দিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার নেতাকর্মীকে হয়রানি করেছে।”


তিনি আরও বলেন, “আজকের এই সম্মেলন আমাদের কাছে আনন্দের, তেমনি দুঃখেরও। আনন্দের কারণ, আমরা মুক্ত পরিবেশে গণতান্ত্রিক কার্যক্রম চালাতে পারছি। আর দুঃখের কারণ, আমরা অনেক প্রিয় সহযোদ্ধাকে হারিয়েছি।” স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে ফখরুল বলেন, “জিয়াউর রহমান একটি দল গড়ে দিয়েছিলেন, যে দল গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, প্রাণ দিয়েছে।”


বিকাল সাড়ে তিনটায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বলে জানানো হয়।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.