সর্বশেষ

শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে এ ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেল থেকে আব্দুর রশিদ জিতু এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে শিবির প্যানেল থেকে মো. মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে শিবির প্যানেল থেকে ফেরদৌস আল হাসান এবং আয়েশা সিদ্দীকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন:

  • শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক: আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল)

  • পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক: মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল)

  • সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক: মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)

  • সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র)

  • সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক: মো. রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল)

  • নাট্য সম্পাদক: মো. রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)

  • ক্রীড়া সম্পাদক: মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র)

  • সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী): ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল)

  • সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ): মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল)

  • তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক: মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল)

  • সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক: আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস)

  • সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী): নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল)

  • সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ): মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল)

  • স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক: হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল)

  • পরিবহণ ও যোগাযোগ সম্পাদক: মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)

কার্যকরী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন:

  • মো. তরিকুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)

  • মো. আবু তালহা (শিবির প্যানেল)

  • মো. মহসিন (শিবির প্যানেল)

  • নাবিলা বিনতে হারুণ (শিবির প্যানেল)

  • ফাবলিহা জাহান (শিবির প্যানেল)

  • নুসরাত জাহান ইমা (শিবির প্যানেল)

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা ও উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে।

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে: আমান উল্লাহ আমান

ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে: আমান উল্লাহ আমান

 বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের নেকরোজবাগ মাঠে আবদুল খালেক স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আমান বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছরের সংগ্রামের পর বিএনপি আবার জনগণের দোরগোড়ায় ফিরে এসেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজে ৬ বছর কারাবাস করেছেন, আমিও দীর্ঘ সংগ্রাম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটেছে। গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। আমিও স্পষ্টভাবে বলতে চাই—ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি সবসময় জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল এবং আছে। জনগণের শক্তির কাছে কোনো স্বৈরশাসক টিকে থাকতে পারেনি, এবারও পারবে না।”

অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে ঘাটারচর ফুটবল দল ও তালেপুর ফুটবল দলের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক খেলা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে কোনো দল গোল করতে না পারায় খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে তালেপুর ফুটবল দল ৪-৩ গোলে ঘাটারচর ফুটবল দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামিম হাসান, সাধারণ সম্পাদক হাসমত উল্লাহ নবী, সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবদলের আহ্বায়ক হাজী আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার: শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার: শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি তাদের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃত নেতারা হলেন মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মান্নান হোসেন শাহীন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম অপু।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বে) এ বি এম এ রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে প্রাথমিকভাবে তাদের পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের সংশোধন না করায় তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মান্নান হোসেন শাহীন ও জহিরুল ইসলাম অপুর বিরুদ্ধে কাঁটাসুর নামার বাজার দখল, ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মান্নান হোসেন শাহীন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

ছাত্ররাজনীতি জনগণের স্বপ্ন ও ন্যায়ের জন্য হবে: আ স ম আবদুর রব

ছাত্ররাজনীতি জনগণের স্বপ্ন ও ন্যায়ের জন্য হবে: আ স ম আবদুর রব

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ছাত্ররাজনীতি শিক্ষার পাশাপাশি জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেবে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বৈ. স)-এর নবগঠিত কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন বিজয় এবং সাধারণ সম্পাদক নাবিলা সুলতানার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

আ স ম আবদুর রব বলেন, “ছাত্ররাজনীতি কখনোই ব্যক্তিগত, দলীয় বা গোষ্ঠীগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার খেলা হতে পারে না। রাজনীতি হচ্ছে ন্যায়, শিক্ষা ও মানুষের মর্যাদার জন্য লড়াই। ক্ষমতার লড়াইকে প্রাধান্য দিলে রাজনীতি স্বার্থনির্ভর ও স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠে। তবে জনগণের স্বপ্ন ও ন্যায়কে কেন্দ্রে রাখলে রাজনীতি হয়ে ওঠে একটি নৈতিক প্রক্রিয়া, যা সমাজের দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণ, শিক্ষা ও গণমুখী শক্তিকে প্রসারিত করে।”

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বৈ. স)-এর সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, “ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের অপ্রত্যাশিত জয় এবং বিএনপিসহ জুলাই অভ্যুত্থানপন্থি শক্তির পরাজয় শুধু একটি সাংগঠনিক দৃশ্য নয়; এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির নৈতিক ভিত্তি ও দার্শনিক দিকনির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মুহূর্ত। এই বাস্তবতার আলোকে পুরোনো রাজনীতি ও কৌশল অতিক্রম করে সমাজ উপযোগী রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে নীতি ও কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।”

সৌজন্য সাক্ষাতে জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছাত্রলীগ (বৈ. স)-এর নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাহিদ হাসান রিমন, মোহাম্মদ রুবন আকরাম, আসিফুল ইসলাম রিয়াজ, ইমতিয়াজ আহমেদ সিয়াম, সাইফ তাসনিম চৌধুরী, তারেক রহমান, জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ, মেহেদী হাসান, আশরাফুল আলম জুয়েল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে বুধন্তীতে মশাল মিছিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা পরিবর্তনের প্রতিবাদে বুধন্তীতে মশাল মিছিল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রকাশিত আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ। এই সিদ্ধান্তের পক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার অবস্থানের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৮টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী বাস স্ট্যান্ডে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমানের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই বিক্ষোভে কয়েকশত মানুষ অংশ নেন। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ এতে যোগ দেন।

প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, যিনি বুধন্তী ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি নিজের পৈত্রিক এলাকার মানুষের আবেগ ও অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নিজের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। তারা বলেন, “জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ানো কোনো প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।” বিক্ষোভকারীরা বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে পুনরায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী, বুধন্তী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মাহবুবুর আলম, সাধারণ সম্পাদক রাস্টু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো. কামাল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন খোকন, বিজয়নগর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক রতন মোল্লা, বুধন্তী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির মোল্লা, এবং বুধন্তী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শামীম ফকির প্রমুখ।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের পুনর্নির্ধারিত সীমানার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই স্থানীয় জনগণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন।

বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের জয়, মির্জা আব্বাসের বিস্ফোরক অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের জয়, মির্জা আব্বাসের বিস্ফোরক অভিযোগ

গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে শীর্ষ তিনটি পদে জয়লাভ করেছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’। ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম), জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান। এছাড়া, ১২টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ৯টিতে জয় পেয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা, বাকি তিনটি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

নির্বাচনের ফলাফলের পর বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে ‘আঁতাত করে’ ছাত্রশিবির এই নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি বলতে পারি না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর এত ভোট কোত্থেকে আসল। আমার তো হিসাব মেলে না ভাই।” তিনি এই ফলাফলকে কারচুপি হিসেবে না দেখে দেশে ‘গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, “যখনই আমরা বিভিন্ন দল একসঙ্গে বসি, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বারবার বলেন, ‘ভাই খেয়াল রাইখেন আওয়ামী লীগ যেন আর কোনো দিন আসতে না পারে।’ কিন্তু তলে তলে তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়ে নিল।”

এই অভিযোগের মাধ্যমে মির্জা আব্বাস ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখছেন।

শামা ওবায়েদ: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই চলবে

শামা ওবায়েদ: গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই চলবে

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ লড়াই করে আসছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যতদিন এই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন এই যুদ্ধ চলবে। বাংলাদেশে বিএনপি একমাত্র দল, যার কাছে গণতন্ত্র নিরাপদ।”

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকালে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া স্কুল মাঠে স্থানীয় বিএনপির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামা ওবায়েদ আরও বলেন, “ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা তার কর্মীদের ফেলে পালিয়ে গেছেন। ফরিদপুর-২ আসনে বিনাভোটের এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও পালিয়েছেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। আমার বাবা মরহুম কেএম ওবায়দুর রহমান সালথা-নগরকান্দায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দেখভাল করেছেন। তার সন্তান হিসেবে আমার দায়িত্ব, যে যেই ধর্ম বা দলের হোক, সবাইকে দেখভাল করা।”

সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান হবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার, সালথা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. শাহীন মাতুব্বর, উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, যুবদল নেতা তৈয়বুর রহমান তৈয়ব প্রমুখ।