মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অপেক্ষা করছি, যেখানে এমন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগ, আইন, স্বাস্থ্য খাতসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এবং গত ১৫ বছরে গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর কাঠামো ভেঙে দিয়েছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ‘ভিশন টুয়েন্টিথার্টি’ ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, যা দিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন সম্ভব। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংস্কার একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “আপনি কি মনে করেন কাল থেকে পুলিশ ঘুষ নেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমনভাবে ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে পুলিশ ঘুষ না নেয়।” তিনি আমলাতন্ত্রকে উন্নয়নের পথে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, “নির্বাচন না হলে জনপ্রতিনিধি কোথা থেকে পাব? পার্লামেন্টে না গেলে জনগণের শাসন কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে?” তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিএনপির জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সততা। “সততা ছাড়া বিএনপি জনগণের কাছে দাঁড়াতে পারবে না। পত্রপত্রিকায় যে খবর আসছে, তা জিয়াউর রহমানের আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের অবশ্যই সৎ হতে হবে,” বলেন তিনি।