শ্রমিক নেতা মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে তিনি আরও বলেন, “প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার অভাবে সরকার নিজেকে ব্যর্থ করছে। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে ফ্যাসিবাদী শক্তিসহ অনেকে ততপর রয়েছে। কেউ কেউ ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পোড়া দিতে বসেছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দেশের নিরাপত্তা বিপজ্জনক মোড় নেবে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণ কঠিন হবে।” তিনি মব সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য চলতে দেওয়ার পরিণতি হিসেবে দেশের বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে জাতীয় নির্বাচন ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেন। তিনি আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
সমাবেশে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ থাকলেও নারীর অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এটি ব্যর্থ হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে নারীবিদ্বেষী ততপরতার কারণে নারীরা আরও বিপন্ন হয়েছে। তিনি নারীবিদ্বেষী সব ততপরতা বন্ধের দাবি জানান।
রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি শহীদ হলেও তারাই এখনো সবচেয়ে বঞ্চিত ও নিপীড়িত। তিনি বলেন, “শ্রমিকদের অভুক্ত রেখে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।”
রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আবু হাসান টিপু বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের কাছে তারা সবচেয়ে দুর্বল সরকার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সুযোগে লুটপাট ও দখলদারির পুরনো ধারা ফিরে এসেছে।” তিনি সমাবেশে গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের আহ্বান জানান এবং মাইলস্টোন স্কুলে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এছাড়া আহতদের দ্রুত চিকিতসা ও নিহতদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।