উমামা বলেন, “সমন্বয়ক টার্মটা আন্দোলনের সময় কিছুটা দরকার ছিল—যেমন, আমি যদি বিপদে পড়ি তাহলে যেন কাউকে ফোন করে কানেক্ট করতে পারি। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। ৫ আগস্ট পর্যন্ত সমন্বয়ক লিস্টে থাকা বেশিরভাগ মানুষকেই আমি রিচ করতে পারিনি।”
তিনি জানান, আন্দোলনের সময় ৫২, ৬২ ও পরে ১৫৮ জন সমন্বয়কের তালিকা তৈরি হলেও তাদের অনেকেই দায়িত্ব পালন করেননি। বরং সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমে আন্দোলনের গতি বজায় রেখেছে। উমামা বলেন, “জুলাই-আগস্টের সময় মনে আছে, অভ্যুত্থান এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল যে বোঝা যাচ্ছিল না কে কোন দিক থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ যে যেভাবে পেরেছে, কানেক্ট করেছে। অথচ যাদের আমরা সমন্বয়ক ভাবছিলাম, তাদের অনেকেই সেই ভূমিকা পালন করতে পারেনি।”
উমামা আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন দখল ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, “সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দখল করছে, কেউ কেউ চাঁদাবাজিতেও জড়িয়েছে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনের মধ্যে একটি ‘সমন্বয়ক বাহিনী’ গড়ে উঠছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “সেখানে আওয়ামী লীগের রক্ষীবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় দখল নিতে থাকে। এখন মনে হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই সমন্বয়ক বাহিনী গড়ে উঠছে।”
লাইভে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “গতকাল পর্যন্ত কেউই সমন্বয়ক পরিচয় নিতে চাইছিল না, আর আজ দেখি সবাই সমন্বয়ক। এটা প্রশ্ন তো তুলেই।”