সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমন্বয়কদের চেয়ে সাধারণ মানুষের ভূমিকা বেশি: উমামা ফাতেমা

 বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, আন্দোলনের সময় সমন্বয়কদের তুলনায় সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সহায়তা করেছে। গতকাল মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক লাইভ ভিডিও বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

উমামা বলেন, “সমন্বয়ক টার্মটা আন্দোলনের সময় কিছুটা দরকার ছিল—যেমন, আমি যদি বিপদে পড়ি তাহলে যেন কাউকে ফোন করে কানেক্ট করতে পারি। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। ৫ আগস্ট পর্যন্ত সমন্বয়ক লিস্টে থাকা বেশিরভাগ মানুষকেই আমি রিচ করতে পারিনি।”

তিনি জানান, আন্দোলনের সময় ৫২, ৬২ ও পরে ১৫৮ জন সমন্বয়কের তালিকা তৈরি হলেও তাদের অনেকেই দায়িত্ব পালন করেননি। বরং সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে নেমে আন্দোলনের গতি বজায় রেখেছে। উমামা বলেন, “জুলাই-আগস্টের সময় মনে আছে, অভ্যুত্থান এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল যে বোঝা যাচ্ছিল না কে কোন দিক থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ যে যেভাবে পেরেছে, কানেক্ট করেছে। অথচ যাদের আমরা সমন্বয়ক ভাবছিলাম, তাদের অনেকেই সেই ভূমিকা পালন করতে পারেনি।”

উমামা আরও উল্লেখ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে সমন্বয়ক পরিচয়ে বিভিন্ন দখল ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, “সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দখল করছে, কেউ কেউ চাঁদাবাজিতেও জড়িয়েছে।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনের মধ্যে একটি ‘সমন্বয়ক বাহিনী’ গড়ে উঠছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “সেখানে আওয়ামী লীগের রক্ষীবাহিনী বিভিন্ন জায়গায় দখল নিতে থাকে। এখন মনে হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই সমন্বয়ক বাহিনী গড়ে উঠছে।”

লাইভে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “গতকাল পর্যন্ত কেউই সমন্বয়ক পরিচয় নিতে চাইছিল না, আর আজ দেখি সবাই সমন্বয়ক। এটা প্রশ্ন তো তুলেই।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.