মির্জা ফখরুল বলেন, “জুলাই আন্দোলনে গোটা বাংলাদেশ নেমে এসেছিল। যুবদলের ৭৯ জন এবং ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। যার যা অবদান, তা তাকে দিতে হবে। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে।” তিনি জানান, কোনো একক দল বা ছাত্র সংগঠন নয়, বরং শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল, যার ফলে স্বৈরাচারের বিদায় সম্ভব হয়েছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীদের চাঁদাবাজির মতো ঘটনা কি আমরা চেয়েছিলাম? এত তাড়াতাড়ি এসব ঘটলে ভবিষ্যত কী হবে? গোটা বাংলাদেশ তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জোর গলায় বলতে পারছি না যে এ দেশ নতুন করে গড়ে উঠবে। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, যা ফ্যাসিস্টদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।”
বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন তুলে বলেন, “শেখ হাসিনার বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখলাম না, এক বছর পেরিয়ে গেল। যারা প্রকাশ্যে হত্যা করেছে, তাদের কেন গ্রেফতার করা হলো না?” সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিএনপি সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। তিনি আরও বলেন, “যতই চাপ তৈরি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হোক, দেশের মানুষ লড়াই করতে জানে। তারা লড়াই করে দেশকে মুক্ত করেছে। তারেক রহমান চেষ্টা করছেন, কীভাবে বাংলাদেশকে আবার গড়ে তোলা যায়।”