নিজের ঘরে শুদ্ধি অভিযানের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আরেক ধরনের নেতা–কর্মী রয়েছে, যারা তেলবাজ ও সেলফিবাজ। এদের কোনো প্রোগ্রামে ডাকলে পাওয়া যায় না। কাজে ডাকলে পাওয়া যায় না। নেতার পেছনে ঘোরে, সেলফি তুলে ফেসবুকে সেলফি–বাণিজ্য করে। প্রশাসনে ছবি–বাণিজ্য করে। এদের প্রতিহত করতে হবে। আগে নিজের ঘর ঠিক করতে হবে। আমার দরকার নেই এসব সেলফিবাজ, তেলবাজ।’
সভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশে সংস্কারপ্রক্রিয়া চলছে। ঐকমত্য কমিশন বলেছে, জুলাই সনদ হবে। আমরাও বলেছি, জুলাই সনদ হতেই হবে এবং সেটা ৫ আগস্টের মধ্যে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐকমত্য চাই। নির্বাচন কমিশন, দুদক এবং পিএসসির নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য সাংবিধানিক কমিটি তৈরি করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, নিরপেক্ষ প্রশাসন, নিরপেক্ষ পুলিশ, নিরপেক্ষ আদালত। এই প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারগুলো আমাদের প্রয়োজন। ইনশা আল্লাহ আমরা ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই পদযাত্রায় নেমেছি কারণ আমরা আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ এখনো পাইনি। তবে ময়মনসিংহবাসী আমাদের পাশে থাকলে অচিরেই সেই দেশ বিনির্মাণ করতে পারব। ৩ আগস্ট আমরা ঢাকায় জড়ো হচ্ছি, ময়মনসিংহবাসীকে আগাম দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছি।’ ময়মনসিংহের অবকাঠামোগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদকে মেরে ফেলা হয়েছে। বিগত সরকার শুধু মানুষ বা গণতন্ত্র হত্যা করেনি, প্রাণপ্রকৃতি, নদীগুলোকেও হত্যা করেছে। আমরা সেই নদীগুলো উদ্ধার করতে চাই। পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন ও সুষম বণ্টন চাই।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) আজকে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেছেন। ফিরে এসেছেন, স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু শহীদদের রক্তের সঙ্গে ওয়াকআউট করতে পারেন না। যখন খুনি হাসিনা আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল, আমরা কী গুলির মুখ থেকে ওয়াকআউট করেছিলাম? শহীদদের রক্ত ও আহতদের অঙ্গহানির ওপর দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করছি।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, ময়মনসিংহে শহীদ সাগরের বাবা মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।