এদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৬০ হাজার সেনা সদস্য মাঠে থাকবেন। এছাড়া, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গুজব ও ভুয়া তথ্য রোধে ‘ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করতে কাজ চলছে এবং প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এসব তথ্য জানান।
এর আগে, সোমবার সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। তাদের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক, কাউন্টার টেরোরিজম, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের বিষয় উঠে আসে। এ সময় ড. ইউনূস মার্কিন প্রতিনিধিকে জানান, তার সরকার সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে।