বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

শাহবাগে ‘জুলাই যোদ্ধা’র অবরোধ, নতুন মব তৈরির অভিযোগ রাশেদ খাঁনের

জুলাই সনদ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে একদল বিক্ষোভকারী। এই অবরোধে অংশ নিয়েছেন জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা ও আহত ব্যক্তিরা। তবে, এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন শাহবাগে ‘আরেকটি মব’ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা ‘অন্তর্বর্তী সরকার, জুলাই সনদ দরকার’ স্লোগান দিয়ে অবরোধ শুরু করেন। এতে শাহবাগসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর ১২:২০ নাগাদ শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মনসুর জানান, প্রায় ১,৫০০ বিক্ষোভকারী অবরোধে অংশ নিয়েছেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সংখ্যা কিছুটা কমলেও তারা অবরোধ অব্যাহত রাখেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, “যতটুকু তথ্য পেলাম, শাহবাগে আরেকটি মব ত彼此

তৈরি করা হচ্ছে। ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয়ে জড়ো হতে বলা হয়েছে। কারা এই কাজটা করছে, অনুমান করার চেষ্টা করুন।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চলমান থাকা সত্ত্বেও এই অবরোধ ডাকা হয়েছে। জুলাই যোদ্ধা কি এই ২০০-১০০ মানুষ? সারা দেশে কোটি কোটি জুলাই যোদ্ধা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের স্টাইলে রাজনীতি বন্ধ করুন। দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির অপচেষ্টা দেশবাসী রুখে দেবে, ইনশাআল্লাহ।”

রাশেদ খাঁন সতর্ক করে বলেন, “ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকারের ঘোষিত সময়ে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র চাই। পরিস্থিতি ঘোলাটে করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টার পরিণতি ভালো হবে না। এতে সবচেয়ে বেশি ফায়দা পাবে আওয়ামী লীগ। ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য বজায় রাখুন। দেশকে অস্থিতিশীল করার ভারতীয় ফাঁদ থেকে দূরে থাকুন।”

শাহবাগের এই অবরোধ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের ন্যায্য দাবি হিসেবে দেখলেও, রাশেদ খাঁনের মতো অনেকে এটিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও, এই অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.