বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের সাদিক কায়েমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি শুধু অভ্যুত্থানে তাঁদের অবদান ও ত্যাগ অনুযায়ী ‘যথাযথ হিস্যা’ চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁর ফেসবুক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি। তবে, তিনি যে ফেসবুক পেজে পোস্টটি করেছেন, তা ভেরিফায়েড নয়।
আব্দুল কাদের তাঁর পোস্টে লেখেন, অভ্যুত্থানের পর জামায়াত-শিবিরের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের একজন সাবেক সভাপতি এবং এক শিবির নেতার স্ত্রী মূলত ‘হিস্যা’ সংক্রান্ত বিষয়ে লিয়াজোঁ করছিলেন। তাঁরা সচিবালয় থেকে মন্ত্রণালয় ও আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন স্তরে নিজেদের মতাদর্শী ব্যক্তিদের নিয়োগের জন্য তদবির করেছেন। তিনি জানান, প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও, পরে সমস্যা শুরু হয় যখন এই দুই ব্যক্তি আসিফ নাজরুল ও নাহিদ ইসলামের নাম ব্যবহার করে তদবির করতে থাকেন, তাঁদের অজান্তেই।
আব্দুল কাদের আরও লেখেন, আসিফ ও নাহিদ এই কার্যক্রমকে সমীচীন মনে করেননি এবং তাঁদের নাম ব্যবহার করে তদবির করাকে সঠিক বলে বিবেচনা করেননি। ফলে, জামায়াত-শিবিরের ওই দুই ব্যক্তির নামে মন্ত্রণালয়গুলোতে চিঠি পাঠানো হয়, যাতে তাঁদের তদবির গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরই সাদিক কায়েম আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি লেখেন, “সাদিক ভাই এক রাতে আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে চান। সন্ধ্যা থেকে রাত চারটা পর্যন্ত ম্যাসেজ দিয়েছেন। আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে থাকলেও তাঁর পীড়াপীড়িতে রাত চারটায় ভিসি চত্বরে দেখা করি। কথা চলে ফজরের ওয়াক্ত পর্যন্ত। সাদিক ভাইয়ের একটাই অভিযোগ—অভ্যুত্থানে তাঁদের এত অবদান, ত্যাগ, অথচ এখন তাঁদের প্রতি ইনজাস্টিস করা হচ্ছে। মাহফুজ, নাহিদ, আসিফরা তাঁদের কথা শুনছেন না, তাঁদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।”
এই পোস্টটি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ভাগবণ্টন নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে, আব্দুল কাদেরের এই পোস্টে সাদিক কায়েমের অবস্থান এবং জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। সাদিক কায়েম বা তাঁর পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।