বুধবার ঢাকার আশুলিয়ায় বিএনপির ‘নারকীয় জুলাই’ প্রতিবাদ সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। বিএনপি একটি দায়িত্বশীল দল হিসেবে বারবার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেয়। স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত জনগণ যদি ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, তাহলে রাষ্ট্রে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”
তারেক রহমান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “সবচেয়ে বেশি শ্রমিক মারা গেছে, বিশেষ করে সাভার-আশুলিয়ায় গণহত্যা চালানো হয়েছে। হত্যার পর লাশগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এমন বর্বরতা কারবালার নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টদের পলায়নের দিনেও সাভার-আশুলিয়ায় গণহত্যা চলছিল।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছর জুলাইয়ের আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের সরাসরি কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না। তারা সরকারি চাকরির আশা করেননি। তবুও পোশাক কারখানার শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যানচালক, রেস্তোরাঁকর্মী, রিকশাচালকরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। কারণ, ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় থাকলে কেউ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে না, কোনো ন্যায্য দাবি আদায় হবে না।”
তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, “সরকার ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জনগণের মুখাপেক্ষী করতে পারলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সম্ভব। এর মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা যাবে।”