এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ, সিনিয়র সহসভাপতি লুৎফর রহমান কুমার, কোষাধ্যক্ষ এম লিটন-উজ-জামান, দপ্তর সম্পাদক মোকাদ্দাস হোসেনসহ অন্যান্যরা।
এর আগে, গত ২১ জুলাই কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নিচে ফটকের পাশে দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিষয়ে জানতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেছিল জেলা বিএনপি। সেদিন জাকির হোসেন বলেছিলেন, “এই বাক্সে যেকোনো ব্যক্তি নির্ভয়ে লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবেন। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাস, মাদক কারবার বা রাজনীতির নামে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের মতো বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করা হবে।”
বুধবার বেলা দুইটার দিকে জাকির হোসেন প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বাক্সটি খোলেন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ প্রথম আলোকে জানান, আট দিন পর জাকির হোসেন নিজে এসে চাবি দিয়ে বাক্স খোলেন। এ সময় চারটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, যা তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে পড়ে শোনান।
অভিযোগগুলোর মধ্যে দুটিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি দুটির মধ্যে একটি লালন একাডেমির অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং অপরটি একটি হত্যা মামলার সাক্ষীদের প্রশাসনের পরিচয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে জমা পড়া একটি অভিযোগে বলা হয়, কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ডে ছয়-সাতজন বিএনপি নেতা প্রতিদিন ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করেন। অভিযোগে কারা কত টাকা আদায় করেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, গত বছরের ৫ আগস্টের পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের পরিচয়ে একটি ক্লাব দখল করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা কোনো কার্যক্রম চালাতে পারছেন না।
জাকির হোসেন সরকার বলেন, “জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে দুটি রাজনৈতিক দল-সম্পর্কিত। বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা দুই দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব, ইনশাআল্লাহ। মানুষ অভিযোগ জানাতে শুরু করেছে। আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হবে।”