মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

এখন সময় ভালো যাচ্ছে না, তবে ভালো সময় আসবে: মির্জা ফখরুল


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “সময় তো ভালো যাচ্ছে না এখন, অনেকেই অনেক কথা বলছেন। অনেকেই মন খারাপ করছেন। আমি সব সময় আশাবাদী মানুষ। বয়স আমার অনেক, তবে আমি মনে করি, এরপর ভালো সময় আসবে। আরও ভালো সময় আসবে।” মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস-২০২৫’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ (টিবিডি)।

মির্জা ফখরুল বলেন, “জেনারেশন গ্যাপ অনেক বেশি। তরুণদের বুঝতে আমার সময় লাগে। আমাদের বুঝতেও তাদের সময় লাগে। এই কারণে কিছু রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটিকে একটি জায়গায় আনতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান হতো।” তিনি আরও বলেন, “জেন-জিদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় খুব কম। এই পরিচয় বাড়ানো দরকার। ঢাকার চিন্তাভাবনার সঙ্গে ঠাকুরগাঁওয়ের চিন্তাভাবনা এক নয়। এই দূরত্ব মেটাতে হবে। তা না হলে আমরা যে প্রজন্ম, যে শক্তি, যে আর্মি তৈরি করতে চাই, যে বাংলাদেশকে বদলে দেবে, সেই জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারব না।” তরুণদের ভবিষ্যৎ ভূমিকার প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমাদের তরুণেরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি যোগ্য হয়ে উঠছে। তারা ভবিষ্যতে দেশে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। তবে তর্ক আছে, বিতর্ক আছে, মতের অমিল আছে। আমরা লিবারেল ডেমোক্রেসিতে বিশ্বাস করি। আমার কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে, তোমারও কথা বলার স্বাধীনতা থাকতে হবে। এটাই উপযুক্ত গণতন্ত্র।” ‘মাননীয়’ শব্দ বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বা মাননীয় স্পিকার কথাটা কি বাদ দিতে পারি না? এই মাননীয় কথাটা থেকেই স্বৈরাচারের জন্ম হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এখানে যে-ই মন্ত্রী হয়, সে ভিন্ন জগতে চলে যায়। তার স্যালুট, বাঁশি, গাড়ির সামনে-পেছনে গাড়ি—এই মানসিকতা ধীরে ধীরে স্বৈরশাসকের দিকে নিয়ে যায়।” অনুষ্ঠানে টিবিডির পরিচালক সাইফ রুবাবের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মাদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, আইনজীবী রাশনা ইমাম, অ্যাডকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম ফারহান চৌধুরী, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু, ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শাহাদাত হোসাইন, ডিসিডিএসের প্রধান মডারেটর অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, টিবিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবায়েত মান্নান রাফি প্রমুখ।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.