মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

জনগণ পাশে থাকলে দিল্লি বা লন্ডনে পালাতে হয় না: হাসনাত আবদুল্লাহ


জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জনগণের রাজনীতি করবে এনসিপি এবং সব সময় জনগণের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, “জনগণ পাশে থাকলে কোথাও পালাতে হয় না।” আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কোনো মার্কা বা দলের কাছে আমাদের বিবেক যেন বন্ধক না দিই, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।”

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে মেহেরপুরের গাংনী পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ডে জাতীয় নাগরিক কমিটির জুলাই পদযাত্রার পথসভায় হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “ক্ষমতার উৎস দিল্লি নয়, বসুন্ধরা গ্রুপ নয়, এস আলম নয়, কোনো ব্যবসায়ী নয়। ক্ষমতার উৎস কেবল জনগণ। জনগণ পাশে থাকলে দিল্লি পালাতে হয় না, লন্ডন থাকতে হয় না। জনগণ পাশে থাকলে এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলে জন্ম ও মৃত্যু হয়। আমরা কোনো পিন্ডি, দিল্লি বা আমেরিকার ওপর নির্ভর করতে চাই না।” যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে হাসনাত বলেন, “যে যত জনপ্রিয়, যে জনগণের কাছে যায়, জনগণের ভাষা ও সমস্যা বোঝে, তাকেই নেতা নির্বাচন করব। আমাদের দেশে নেতা তৈরি হয় নির্বাচনের আগে। ঢাকা থেকে টাকার বস্তা নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করে, নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশ, এজেন্ট, ওসি, এসপি কিনে নেয়। সময় এসেছে সচেতন হওয়ার। যে নেতা টাকা দেবে, মনে রাখবেন, সে একদিন টাকা দেবে আর পাঁচ বছর গোলামি করাবে। নির্বাচনের আগে টাকা দেওয়া নেতা পরে আপনাদের মালিক হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনীতি কোনো ব্যবসায়ীর কাছে বর্গা দেওয়া হয়নি। আমরা জনগণের কাছ থেকে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ১০০ টাকা সংগ্রহ করে জনগণের জন্য রাজনীতি করব। যখন রাজনীতিবিদরা ব্যবসায়ীদের কাছে রাজনীতি বন্ধক দেন, তখন তাদের স্বার্থে পলিসি তৈরি করতে হয়।” তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, “আগের প্রজন্ম ভণ্ডামিকে কৌশল আর মিথ্যাকে রাজনীতি বলেছে।” পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার, জেলা এনসিপির যুগ্ম সম্পাদক সাকিল আহম্মেদ প্রমুখ।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.