বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই, ২০২৫

‘দেশে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত তৈরি করে নির্বাচন অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, দেশে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত ও ইস্যু তৈরি করে নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে দেশ অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরে জেলা পরিষদ ডাকবাংলো হলরুমে দিনব্যাপী বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সকালে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল, দুপুরে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল এবং বিকেলে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপে জাতি চরম বিপদে পড়তে পারে। তাদের বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি পুরান ঢাকার সোহাগ হত্যাকাণ্ড এবং গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলার উল্লেখ করে বলেন, এসব ঘটনা নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, “কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে অনৈক্য সৃষ্টি হচ্ছে। এই সুযোগে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “বিগত দিনে বিএনপি পুলিশের প্রটেকশনে থাকা আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছে এবং ফ্যাসিবাদী দমন-নিপীড়ন উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। ফ্যাসিস্টদের কাছে কখনো মাথা নত করেনি।” তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এনসিপির প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “এনসিপির নেতারা বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে অপরিপক্বতার পরিচয় দিচ্ছেন। এ কারণে তাদের সেনা যানে ফিরতে হয়েছে। এতে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিও হোঁচট খেয়েছে।”

তিনি জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল, তাঁতীদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কুদ্দুস, মাহবুবুল আলম বাবুল, আবদুল মোমেন শাহীন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব কামরুল হাসান সুমন, উপজেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মনিক, সদস্য সচিব শামীম ইসলাম, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক উসমান গনি, সদস্য সচিব হাসান শাহ প্রমুখ।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.