শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে: নুর

 গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, মৌলিক সংস্কার ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের দিকে এগোনো উচিত নয়।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, “নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দল যেন নির্বিঘ্নে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি আজকের সমাবেশের একটি প্রধান দাবি।”

এর আগে শনিবার দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের মূল পর্ব শুরু হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান সমাবেশস্থলে পৌঁছালে রাস্তার দুই পাশে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা স্লোগানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান।

জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, এই সমাবেশে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসমাগম ঘটবে। জামায়াতের লক্ষ্য বড় ধরনের সমাবেশের মাধ্যমে রাজনীতির মাঠে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করা। সমাবেশ থেকে নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। গণহত্যার বিচার, সংস্কার শেষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং ২৪ জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনার ভিত্তিতে জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি দিকনির্দেশনামূলক বার্তা দেবেন। সমাবেশে জাতীয় নেতা, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, কর্মপরিষদ সদস্য, বিভিন্ন দলের নেতা এবং জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

নেতারা আরও জানান, সমাবেশ সফল করতে দলের আমিরসহ শীর্ষ নেতারা ঢাকা মহানগরসহ দেশজুড়ে ব্যাপক গণসংযোগ, প্রস্তুতি সভা, মিছিল-সমাবেশসহ সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়েছেন। প্রায় ১০ হাজার বাস এবং কয়েক জোড়া ট্রেন রিজার্ভ করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ শুক্রবার (১৮ জুলাই) লঞ্চে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দেন। বিএনপিসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জামায়াতের লক্ষ্য এই সমাবেশে ১৫ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানো।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.