শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে: খেলাফত মজলিস

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না। জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িত সকল এমপি, মন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এছাড়া, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত বছর জুলাই-আগস্টে শত শত সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লব সফল হয় এবং স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

তিনি আরও বলেন, “এক বছর পেরিয়ে গেলেও জুলাই গণহত্যার বিচার এখনো হয়নি। জনগণ খুনি হাসিনা ও তার সহযোগীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছে। আওয়ামী লীগকে দেশের কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। যারা তাদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে, তাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন চলবে।”
“জুলাই-আগস্ট বিপ্লব”-এর প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ জুলাই) বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মাওলানা জালালুদ্দীন এই বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ রাকীবুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়া, মাওলানা এনামুল হক মুসা, ফয়সাল আহমদ ও মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ। সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়, যা পল্টন, বিজয়নগর হয়ে পানির ট্যাংকের মোড়ে গিয়ে মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনের সমাপনী বক্তব্য ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়।
এছাড়া, মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল (১৭ জুলাই) দেশের বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.