শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলা: শেখ হাসিনার নির্দেশে পরিকল্পিত আক্রমণ, সারজিসের চাঞ্চল্যকর তথ্য

 

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের ওপর দফায় দফায় হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন দলটির নেতা সারজিস আলম। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই হামলা পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে। এনসিপির ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গোপালগঞ্জ শহরে জড়ো করে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল এনসিপি নেতাদের শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও তাদের জীবিত ফিরতে না দেওয়া এবং বিশেষ করে শীর্ষ নেতাদের হত্যা করা।

সারজিস জানান, শেখ হাসিনা ভারত থেকে মোবাইল ফোনে গোপালগঞ্জের একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এনসিপির বিরুদ্ধে জনগণকে উসকে দেওয়ার জন্য অডিও বার্তা পাঠান। এছাড়া, পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলের একাধিক সিনিয়র নেতা সমন্বয় করেন। ভারতে পলাতক ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি হামলার নির্দেশনা দেন।

সারজিসের পোস্টে বলা হয়, “আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী বুদ্ধিজীবী, ফুটেজখোর, টকশোবাজ ও ক্ষমতার দালালরা গত দুই দিনে অনেক কথা বলেছেন। এই রিপোর্টটি পড়ুন। এটি শুধু একটি রিপোর্ট, বাস্তবতা এর চেয়েও অনেক বেশি হিংস্র ও সন্ত্রাসী ছিল। দেশ-বিদেশের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে একত্রিত হয়ে সশস্ত্র জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে কথা না বলে অনেকে ভিকটিম ব্লেমিংয়ের মতো ছোটলোকি মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, “হাসিনা নিজে পুরো হামলার সমন্বয় করেছিলেন। মাজার ভাঙার গুজব ছড়িয়ে এলাকার লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গুজব ছড়ানো হয়। আমাদের গাড়ি বহরকে রাস্তার দুই পাশ থেকে আটকে গুলি, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। লক্ষ্য ছিল গণঅভ্যুত্থান ও এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বকে একযোগে হত্যা করা। এমনকি শুটার ভাড়া করা হয়েছিল। প্রথমে প্ল্যান ছিল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে, যেখানে আমাদের অধিকাংশ নেতাকর্মী ছিল, আগুন ধরিয়ে দেওয়ার। পরে সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করা হয়, যার জন্য রাস্তায় গাছ কেটে ও বাঁশ ফেলে অবরোধ করা হয়।”

সারজিস অভিযোগ করেন, সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতার কারণে প্রশাসনের কাছে কোনো সঠিক তথ্য পৌঁছায়নি। প্রশাসন পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই এনসিপির নিরাপত্তার অনুমোদন দিয়েছিল। তিনি বলেন, “ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতটা তৎপর ছিল, পূর্বে ততটা তৎপর থাকলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটত না। এই রক্তপিপাসু সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।”


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.