গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন ইসিতে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বর্তমানে ইসিতে ৫০টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। তবে চলতি বছরে নিবন্ধন পাওয়া বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির এই হিসাব জমার বাধ্যবাধকতা নেই।
সময় বাড়ানোর আবেদনকারী দল
ইসি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে হিসাব জমা দিতে না পারায় ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। দলগুলো হলো:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি
এসব দলের আবেদন কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং ইসি তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
হিসাব জমা দেয়নি যেসব দল
১১টি রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ে হিসাব জমা দেয়নি এবং সময় বাড়ানোর আবেদনও করেনি। দলগুলো হলো:
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ
বিকল্পধারা বাংলাদেশ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)
জাকের পার্টি
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন)
গণফ্রন্ট
বাংলাদেশ ন্যাপ
তৃণমূল বিএনপি
বাংলাদেশ জাসদ
গণসংহতি আন্দোলন
নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকি
২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, কোনো দল পরপর তিন বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে ইসি তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে পারে। সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এক যুগ পর দলটি আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। অন্যদিকে, নিবন্ধন স্থগিত থাকায় এবার প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগ হিসাব জমা দেয়নি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, হিসাব জমা না দেওয়া দলগুলোর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার আগে কমিশন সভায় আলোচনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইসি এই বিধান কঠোরভাবে পালনের ওপর জোর দিচ্ছে।