আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পথে কোনো ধরনের বাধা দেখছে না বিএনপি। এমন মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হওয়ার পথে আমরা কোনো বাধা দেখছি না। যেহেতু বাধা নেই, সেহেতু অযথা দুশ্চিন্তা করারও কিছু নেই। আমরা অপেক্ষা করছি, আশা করি সরকার শিগগির এ বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দেবে এবং নির্বাচন কমিশনকেও সে অনুযায়ী পরামর্শ দেবে।”
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া বিএনপির পক্ষ থেকে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ৮২৬টি সুপারিশের মধ্যে ৫১টি নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে।”
এর আগে হাটহাজারীতে পৌঁছে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত করেন বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা। এরপর তাঁরা মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমেদ কাশেমী ও শায়খুল হাদীস শেখ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। জুমার নামাজ আদায় শেষে তাঁরা মাদ্রাসায় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
পরে তাঁরা চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাবুনগর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রওনা দেন।
সাক্ষাৎকালে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ছিলেন দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির নেতা নূর মোহাম্মদ, সরোয়ার আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হেলাল উদ্দিন, জাসাস চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম এবং ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ আয়োজন করা হয়েছে। যদিও এটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলা হলেও, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে হেফাজতসহ আলেম-ওলামাদের সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে চট্টগ্রামে গিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও তাঁর সঙ্গী নেতারা। সেই সময়ও হেফাজতের সাবেক আমিরদের কবর জিয়ারত করেন তাঁরা।