সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ইসলামী যুব আন্দোলনের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে ফয়জুল করীম: ‘ইসলাম ক্ষমতায় এলে কেউ না খেয়ে থাকবে না’

 ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ক্ষমতা দখল বা নির্বাচনের জন্য ছিল না। এটি ছিল ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এবং নাগরিকদের সমঅধিকার নিশ্চিত করার জন্য। তিনি বলেন, “যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। জুলুম, অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ বন্ধ করতে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমাদের আবারও যুদ্ধ করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে, মাঠে নামতে হবে।”

সোমবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর কাউরিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠে ইসলামী যুব আন্দোলনের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি ফয়জুল করীম আরও বলেন, “মানুষ কেন আপনাদের ভোট দেবে? যারা ক্ষমতায় যেতে চান, তাদের যুক্তিযুক্তভাবে দলিল উপস্থাপন করতে হবে। তারা কী নীতি ও আদর্শ নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবেন?” তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, “বিএনপি বা আওয়ামী লীগ না থাকলে ক্ষমতায় কারা আসবে? ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলাম আসবে।”

গরিবদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা কেন ইসলামকে পছন্দ করেন না? ইসলাম তো গরিবদের জন্যই এসেছে। অনেকে মনে করেন, ইসলাম ক্ষমতায় এলে অসুবিধা হবে। কিন্তু ইসলাম ক্ষমতায় এলে কোনো অসুবিধা থাকবে না, শুধু সুবিধা আর সুবিধাই আসবে। ইসলাম ক্ষমতায় এলে একজনও না খেয়ে থাকবে না।”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি মুফতি সাইদ আহমদ সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ বিন মেহের উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এম এন মাহামুদুল হাসান, নরসিংদী-১ সদর আসনের প্রার্থী শওকত হোসেন সরকার, নরসিংদী-২ পলাশ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মুহসিন আহাম্মেদ, নরসিংদী-২ শিবপুর আসনের প্রার্থী মাওলানা ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, নরসিংদী-৪ মনোহরদী-বেলাবো আসনের প্রার্থী সাইফুল্লাহ প্রধান, এবং নরসিংদী-রায়পুরা আসনের প্রার্থী মাওলানা মুহাম্মদ বদরুজ্জামান প্রমুখ।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.