সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন

 রাজধানীর হাজারীবাগ থানার রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম। এই কার্যক্রম বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির ২৫ নম্বর দফার অংশ।

ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, “শিক্ষার্থীরা কে কী হতে চায়, সে সিদ্ধান্ত যেন তাদের মন থেকে আসে। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত টেকসই হয় না। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ব্যবসায়ী হতে চায়—প্রত্যেকের স্বপ্ন ভিন্ন। কিন্তু অভিভাবকরা অনেক সময় সন্তানদের ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চান, যা ঠিক নয়। শিক্ষার্থীদের নিজের মতো করে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ দিতে হবে।”

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও অন্যান্য মনীষীদের জীবনী পড়া উচিত। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা, যিনি দেশের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাদের আদর্শ অনুসরণ করলে জীবনে আলোকিত হওয়া সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ২৪ জুলাই রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় ও শাপলা একাডেমির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শিক্ষাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ২,০০০ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। ফলাফল ২৮ জুলাই ঘোষণা করা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিসেস মেহেরুন্নেসা। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন মামুন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও শাপলা একাডেমির প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা আক্তার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার অসীমের ছেলে আরিজ আহমেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, হাজারীবাগ ও ধানমন্ডি থানা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.