গত এক বছরে টেলিগ্রাম আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের মূল সাংগঠনিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। কিছু গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ২০ থেকে ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলা ভার্চুয়াল আড্ডায় কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতারা অংশ নিচ্ছেন। তবে, নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শেখ হাসিনা নিজে যখন কোনো টেলিগ্রাম সেশনে উপস্থিত থাকেন, তখনো কে তার সামনে কথা বলার সুযোগ পাবেন, তা নির্ধারণে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ওবায়দুল কাদের টেলিগ্রামকে তার রাজনৈতিক কার্যক্রমের মূল মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন একাধিক গ্রুপে কথা বলার সময়সূচি ঠিক করেন এবং প্রায়ই ‘ঢাকা ঘেরাও’ করার ডাক দেন। তবে তার বক্তব্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দলের একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজ ১৮-কে বলেন, “ওবায়দুল কাদেরকে এখন কর্মীরা প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতে টেলিগ্রামে অসংখ্য গ্রুপ তৈরি করেছেন। এগুলো দলের জন্য নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রতারণার জন্য। শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে পেরেছে, তিনি দলের সিনিয়র নেতা, সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, যাতে তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিতে পারেন।”
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় দলটি ইতোমধ্যে জটিল সমস্যার মুখোমুখি। টেলিগ্রামে অননুমোদিত গ্রুপ গজিয়ে ওঠা এবং এসব গ্রুপে গোয়েন্দা সংস্থার অনুপ্রবেশের ঘটনায় দলের শীর্ষ মহল বিস্মিত। এই পরিস্থিতি দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও কার্যক্রমকে আরও জটিল করে তুলেছে।