গত ৩০ জুন রাতে ছাত্রদল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান স্মরণ, শহীদ ও আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, ঐতিহাসিক স্মৃতি সংরক্ষণ, ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপনের জন্য ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর অংশ হিসেবে তারা ২২ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে শহীদ মিনারে সমাবেশের অনুমতি নেয়।
অন্যদিকে, গত ২৯ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঘোষণা করেন, ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তারা জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করবে। তিনি বলেন, সরকার যদি ৩ আগস্টের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশে ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে তারা আবার আন্দোলনে নামবে। তবে, এনসিপি এখনো শহীদ মিনারে সমাবেশের চূড়ান্ত অনুমতি পায়নি।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, “আমরা আগেই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি এবং অনুমতি নিয়েছি। এনসিপির পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে আমাদের একটি মিটিং রয়েছে। সমাবেশের জন্য জায়গা ছাড়া হবে কিনা, তা বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।”
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, “জায়গা ম্যানেজ হয়েছে কিনা, আমি এখনো জানি না। আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে সম্ভবত বিএনপির সঙ্গে কথা হয়েছে। চূড়ান্ত হলে জানাতে পারব। আমরা শহীদ মিনারে সমাবেশ করব, যেখানে ৬৪ জেলা থেকে লোক আসবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, “ছাত্রদল আগে আবেদন করায় তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে একই স্থানে দুটি সংগঠনকে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। আমি নাহিদ এবং হাসনাতকে জানিয়েছি, তারা ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে কথা বলবেন। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে পারলে ভালো।”
বিষয়টি নিয়ে দুই সংগঠনের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা চলছে।