বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সড়কে সমাবেশ করলে জনদুর্ভোগ বাড়ত। জনস্বার্থে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন করছি। নগরবাসীর যেন কষ্ট না হয়, সে জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” তিনি জানান, সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশের প্রস্তুতি
সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। নির্বিঘ্ন আয়োজনের জন্য ৮টি অনুবিভাগ গঠন করা হয়েছে। সমাবেশে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন স্থাপন করা হবে, যাতে দূর থেকেও অংশগ্রহণকারীরা কার্যক্রম দেখতে পারেন। এছাড়া, ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ২০টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ১৫টি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হচ্ছে, প্রতিটিতে দুজন চিকিৎসক নিয়োজিত থাকবেন। পরিবহনের জন্য ১০ হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছে, এবং নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি’র সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জে হামলার প্রসঙ্গ
সংবাদ সম্মেলনে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ বিষয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরনের হামলা ফ্যাসিবাদের চিহ্ন। জামায়াতে ইসলামী সব ধরনের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।”
সমাবেশের লক্ষ্য ও দাবি
জামায়াতে ইসলামী সমাবেশের প্রধান লক্ষ্য ও দাবি তুলে ধরেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বিচার দাবি।
রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক মৌলিক সংস্কারের মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা।
পরওয়ার বলেন, “এই সমাবেশ গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি থেকে উদ্ভূত। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণেই রাষ্ট্রের সঠিক দিক নির্ধারিত হবে।”
শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আহ্বান
সংবাদ সম্মেলনের শেষে মিয়া গোলাম পরওয়ার সবার প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান এবং সরকারের প্রতি সহযোগিতার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সমাবেশ জনগণের কণ্ঠকে আরও শক্তিশালী করবে।”