এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়া বাকিরা শিশু। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একজন পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ তৌকির ইসলাম এবং একজন শিক্ষিকা মাহরীন চৌধুরী। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮ জন চিকিতসাধীন রয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, সোমবার (২১ জুলাই) রাতে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আরো আটজনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ইনস্টিটিউটে ৪২ জন ভর্তি আছেন। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গতকাল রাতে আরো তিনজন ভর্তি হয়েছেন, বর্তমানে সেখানে ২৮ জন চিকিতসাধীন। সিএমএইচে ১৫ জনের মরদেহ রয়েছে, এবং আটজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাইলট তৌকিরের মরদেহ সিএমএইচে রাখা হয়েছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে একজনের এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল থেকে আরেকজনের দেহাবশেষ নেওয়া হয়েছে, যদিও এটি এখনো মরদেহ হিসেবে শনাক্ত হয়নি এবং ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা গেছেন, এবং সেখানে তিনজন ভর্তি আছেন, যাদের দুজন আইসিইউতে রয়েছেন। ইউনাইটেড হাসপাতালে একজনের মরদেহ আনা হয়েছে। ছয়জনের মরদেহের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি, এবং তাদের ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় বার্ন ইউনিট হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে বলেন, “আমরা ৫১ জন আহতের খোঁজ পেয়েছি। সাত-আটজন ছাড়া বাকিদের অবস্থা গুরুতর। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।” তিনি জানান, দলের সংশ্লিষ্ট চিকিতসকরা সার্বক্ষণিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।